Title
শৈত্য প্রবাহের জন্য বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
Details
শৈত্য প্রবাহের জন্য বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
শৈত্য প্রবাহের জন্য বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
(রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, টাংগাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভিবাজার, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও ভোলা জেলার জন্য)
প্রকাশের তারিখ: ০১/০২/২০২১
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী ০৩-০৪ দিন (০২ ফেব্রূয়ারি-০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) উপরোক্ত জেলাগুলোতে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায় মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে নীচের পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো:
- শৈত্য প্রবাহের সময় বোরো ধানের বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢেকে দিতে হবে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে শৈত্য প্রবাহ চলতে থাকলে সেখানে দিনে এবং রাতে সব সময় পলিথিন দিয়ে চারা ঢেকে রাখতে হবে এবং বীজতলার উভয় পাশে পলিথিন আংশিক খোলা রাখতে হবে।
- বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে নলকুপের পানি ব্যবহার করা ভালো। বীজতলার পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে।
- বোরো ধানের জমিতে রোপণের জন্য কমপক্ষে ৩৫-৪৫ দিনের চারা ব্যবহার করতে হবে। এ বয়সের চারার রোপণ করলে শীতে চারার মৃত্যুহার কমে। চারা রোপণকালে শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে কয়েকদিন দেরি করে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে চারা রোপণ করতে হবে। রোপণের পর শৈত্য প্রবাহ হলে জমিতে ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।
- প্রতিদিন সকালে জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
- বোরো ধানে চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য রোগের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি আজোঅক্সিস্ট্রবিন বা পাইরাক্লোস্ট্রবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে বীজতলায় বিকালে স্প্রে করতে হবে।
- আলুর লেট ব্লাইট বা মড়ক রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত জমিতে রোগ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত সেচ প্রদান বন্ধ রাখতে হবে। নিজের বা পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে রোগ দেখা দেওয়া মাত্র অনুমোদিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করে গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।
- সরিষার পাতা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি ০.২% হারে (প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম) পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।
- গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার জন্য ঘরের চারপাশে কালো কাপড় বা বস্তা ব্যবহার করুন। রাতে গোয়াল ঘরের মেঝেতে বিচালি এবং খোয়াড়ের মেঝেতে তুষ বা কাঠের গুড়া ব্যবহার করা যেতে পারে। খোয়াড়ে হাই ভোল্টেজ বাল্ব ব্যবহার করুন।